নিজস্ব সংবাদঃ রানীগঞ্জ :আইপিএস ডক্টর কুলদীপ শোনাবে সুরেশ ও এসিপি সেন্ট্রাল টু তথাগত পান্ডে, রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর সুদীপ দাসগুপ্ত, নিমচা ফাঁড়ির আইসি বিজন সমাদ্দারের উপস্থিতিতে রবিবার স্বাস্থ্য সখি নামের এ কর্মসূচির মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পুলিশ এক সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করলেন । মে দিবসের দিনেই সমাজের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনের সমাজ সচেতন করার লক্ষ্যে রানীগঞ্জের নিমচা ফাড়ির পুলিশ নিমচা কোলিয়ারি এলাকার সিধু কানু স্মৃতি ভবনে স্বাস্থ্য সখি নামের এক কমসুচির মাধ্যমে কিভাবে মহিলারা সুস্বাস্থের অধিকারী হবে, সে বিষয়ে কে তুলে ধরে এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নিলেন ।এদিন তারা বাল্যবিবাহ রোধ কিভাবে সম্ভব সে বিষয়গুলিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে মেয়েদের কখন বিয়ে দেওয়া প্রয়োজন ও কেনই বা তা প্রয়োজন সে বিষয় নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার সাথেই, কেন প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করা প্রয়োজন সে সকল তথ্য তুলে ধরেন, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা। এদিন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক আইপিএস ডক্টর কুলদীপ শোনাবে সুরেশ বাল্যবিবাহ রোধ করার বিষয়ে প্রসঙ্গ উপস্থাপনের সাথেই সাইবারক্রাইম থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব সে বিষয় গুলি নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন। এদিনের এই বিশেষ কর্মসূচির মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা 300 জন আদিবাসী মহিলাদের শাড়ি, ছাতা, ওআরএস, ও এক মাসের খাবার-দাবারের রেশন সামগ্রী তুলে দিলেন। একই সাথে এলাকার বেশকিছু ক্লাব সংগঠনের ফুটবল দলকে ফুটবল তুলে দেওয়ার পাশাপাশি, এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মাঝি মোড়লদের সম্মানিত করেন। একইসাথে করোনার সময়কালে যে সকল চিকিৎসক এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছিলেন এলাকাকে করোনামুক্ত রাখাতে তাদের এদিন সম্বর্ধিত করা হয় অনুষ্ঠান মঞ্চে এর মধ্যেই। এর সাথেই এলাকার বেশ কিছু সমাজসেবী যারা করোনাকালে সমাজের বিভিন্ন সেবায় নিজেকে নিযুক্ত রেখেছিলেন সেই সমাজসেবীদের এদিন সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। রবিবারের এই অনুষ্ঠান কর্মসূচিতে শামিল হয়ে স্বভাবতই খুশি এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলারা, তারা এ ধরনের ক্যাম্প যাতে আগামীতেও বিভিন্ন প্রান্তে করা হয়, তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানের প্রাথমিক পর্বে দিন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক দের আদিবাসী রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী বরণ করে নেন আদিবাসী মহিলারা। পরে আদিবাসী মহিলা পুরুষ সম্মিলিতভাবে তাদের চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী ধামসা মাদলের তালে নাচ গান পরিবেশন করে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। অনুষ্ঠান কর্মসূচি শেষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয় যেখানে দিন অংশগ্রহণ করা আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজন অংশ নেন মধ্যাহ্নভোজনে।
আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পুলিশ এক সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করলেন
