রাণীগঞ্জ খনি অঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপিত নামাজ আদায় করে একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা
ক্রান্তি সিং রানিগঞ্জ:- মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। পবিত্র রমজান মাস শেষে সারা বিশ্বে পালিত হয় ঈদের উৎসব। এক মাস রোজা রাখার পর চাঁদ দেখা যায় এবং এরপর ঈদের তারিখ পাওয়া যায়। এবার ঈদ উদযাপিত হয়েছে ৩ মে মঙ্গলবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চলছে ঈদের প্রস্তুতি। রাণীগঞ্জ বরো 2-এর সহকারী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ কোনার জানান, রাণীগঞ্জ বরোতে মোট 14টি মসজিদ ও ইদগাহ রয়েছে, যেখানে ঈদের নামাজ পড়া হয়। আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের রানিগঞ্জ বরো থেকে দু-তিন দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি চলছিল, মঙ্গলবার ভোর 4:00 টা থেকে প্রতিটি ইদগাহ ও মসজিদে যেখানে নামাজ পড়া হয়, সেখানে ইতিমধ্যেই ব্লিচিং পাউডার ছিটানো এবং পরিষ্কার করার কাজ করা হয়েছিল। সেই সাথে পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছিল, যাতে ঈদের নামাজের পর সকল মুসলিম ভাইরা পানি পান করতে পারে। রাণীগঞ্জের রোনাই মসজিদের ইমাম বলেন, ঈদের উৎসব ভ্রাতৃত্বের উৎসব, যেখানে আমরা সবাই একে অপরকে সাহায্য করতে শিখি। ঈদের আগে বস্ত্র বিতরণ থেকে শুরু করে দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়, যাতে তাদেরও ঈদ ভালো কাটতে পারে। ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ঈদুল ফিতর শুরু হয় জঙ্গ-ই-বদরের পর। কথিত আছে যে এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং নবী মুহাম্মদ এবং এই যুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায় বিজয়ী হয়েছিল। মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা ঈদের দিনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, কারণ আল্লাহ তাদের 30 দিন রোজা রাখার শক্তি দিয়েছেন। করোনার কারণে গত দুই বছর পর এবার ঈদগাহে প্রকাশ্যে ঈদের নামাজ পড়া হয়েছে। এবার ঈদকে কেন্দ্র করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় মসজিদগুলো সাজানো হয়। এদিন নতুন জামা-কাপড় পরার পাশাপাশি নিজ নিজ বাড়িতে সেবায়ান লাচ্ছা ও বিভিন্ন ধরনের খাবারের আস্বাদন করেন সকলে। লোকেরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঈদ মোবারক জানায়। অপরদিকে, ঈদের আগের দিন রানিগঞ্জ থানার নিমচা ফাঁড়ি ইনচার্জ বিজন সমাদ্দারের নেতৃত্বে জে কে নগর লাইন পার জুড়ে অবস্থিত বড় মসজিদের ইমামকে ফুলের তোড়া, মিষ্টি, গ্রিটিং কার্ড দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।