আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট ৩ মে “পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মানছে না তারাপীঠ মন্দির কমিটি। এখনও মন্দির অপরিষ্কার থাকছে। তারাপীঠ প্ল্যাস্টিক জোন ঘোষিত হলেও মন্দির চত্বরে প্ল্যাস্টিক নিয়ে ঘুরছেন পুন্যার্থীরা”। সোমবার তারাপীঠের ত্রিনয়নী আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শিশির কুমার শর্মার মূর্তি উন্মোচন করতে এসে একথা বলেন অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
বছর ২৫ আগে তারাপীঠে শ্যাম – শ্যামা ও মনসা মায়ের মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা শিশির কুমার শর্মা। ধীরে ধীরে তিনি বহু মানুষের গুরুদেব হয়ে ওঠেন। বহু আই এস এবং আই পি এস অফিসার তাঁর শিস্য। গত বছরের মে মাসে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান। জীবদশ্মায় তিনি প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতেন। তাঁর মৃত্যুতে সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন শিশিরবাবুর ভাইপো রুদ্রনারায়ন শর্মা ও উদিত নারায়ণ শর্মা। এদিন তাঁদের উদ্যোগে গুরুদেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পূর্ণবয়ব মূর্তির উন্মোচন করেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় শাখায় তারাপীঠের দূষণ নিয়ে তিনি মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় বেশ কিছু নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল তারাপীঠ মন্দির প্রতিদিন ছয়বার পরিষ্কার করতে হবে। নদীতে লজের নোংরা ফেলা যাবে না। কিন্তু সেই নির্দেশ পালন করা হচ্ছে না। এছাড়া তারাপীঠকে প্ল্যাস্টিক জোন করা হলেও এখনও দেদার প্ল্যাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ফের পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হব”।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দিন কয়েকের মধ্যে আরও কয়েকজন লোক লাগিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্তা বারাব। আদালতের নির্দেশ মেনেই মন্দির পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। আর প্ল্যাস্টিক বন্ধ করতে গেলে প্রশাসনকে আগে উদ্যোগ নিতে হবে”।