DURGAPUR নিজস্ব সংবাদ :মুহূর্তে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা না পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা বীতশ্রদ্ধ। সরকারি কর্মচারীদের একটি অংশ সরকারি দমন পীড়নের ভয়ে পেটে গামছা বেঁধে চাকরি বজায় রেখেছেন। আবার সরকার পন্থী শ্রমিক সংগঠন কর্মচারীদের দুঃখের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে ভিন্ন পথে আন্দোলনে নামিয়ে দিচ্ছে। ২০০৯ সালের সরকারি সিদ্ধান্ত মতো কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মীরা ডিএ পাবার কথা। কিন্তু কেন্দ্র ৩৪ শতাংশ দিলেও রাজ্য দিয়েছে ১৩শতাংশ। একটা অব্যবস্থা চলছে। তাই, রাজ্যের বিদ্যুৎক্ষেত্রে শ্রমিক কর্মচারী থেকে ইঞ্জিনিয়ার কর্মী আধিকারিক সহ এগারটি সংগঠন যৌথভাবে আজ বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল) এর ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বড়ো অংশ এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। নিজস্ব কয়লা খনিতে অনিয়ম, কারখানায় অব্যবস্থা, ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠনের পরামর্শ উপেক্ষা করে ডিপিএলের প্রশাসনে সম্পূর্ণ অব্যবস্থা চলছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কর্মী আবাসন ভোগ করছে বহিরাগতরা। নিজস্ব কয়লা খনি থাকতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত করে ভয়ঙ্কর লুটতরাজ চলছে। শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন জীবিকা নিয়ে ছেলেখেলা চলছে। সর্বনাশ ঠেকাতে অবিলম্বে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের অধীন তিনটি কোম্পানি ( ডিসিএল টিসিএল ও পিডিসিএল) -কে হস্তান্তরের দাবি উঠেছে। কারখানায় স্থাবর, অস্থাবর, শ্রম ও মেধা সম্পদকে রক্ষা করতে অবিলম্বে তিন কোম্পানিতে সংযুক্তির দাবি উঠেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষের সমাগমে মুখর হয়ে ওঠে কলকাতার বিদ্যুৎভবন। দাবি উঠেছে, পেনশনার দের মর্যাদার। অভিন্ন পেনশনের গ্যারান্টী ছাড়াও বর্ধিত বাজারদর অনুযায়ী কুড়িহাজার টাকা এক্সগ্রেসিয়ার দাবি রয়েছে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিখিলেন্দু মুখার্জি বলেন, দাবি আদায়ের প্রশ্নে কোন গাফিলতি হলে জেলাস্তরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। আলাপ আলোচনা চলছে, কর্মচারী ঐক্য শক্তিশালী করতে অন্যান্য সংগঠন গুলিও শীঘ্রই একত্রিত হবে বলে আশাকরা যায়।
মহার্ঘ ভাতা না পাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভ ASANSOL EXPRESS NEWS
