ASANSOL EXPRESS NEWS কাজল মিত্র :- ধর্মরাজ পূজা বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে অনু্ষ্ঠিত হলেও এই পূজা সম্পন্ন হতে সময় লাগে তিনদিন। কোথাও এই পূজা সম্পন্ন হয় চারদিনে।আবার কোথাও সাতদিন ধরে চলে এই পুজোর রীতি নীতি ।
বাবা ধর্মরাজ পু্জোর কয়েকদিন আগে থেকেই ভক্তরা উপবাস করতে শুরু করে। বিশেষত বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে ভক্তাদের লোটন, কাঁটা লোটন, ডণ্ডি দেওয়া, দেহের বিভিন্ন অংশ ছুঁচ দ্বারা ফোঁড়া,আগুন খেলা,চাবুক মারা যা বাণফোঁড়া নামে পরিচিত ইত্যাদি ধর্মরাজ পূজার বিশেষ অংশ রূপে দেখা যায়।সেই দৃশ্য দেখা মিললো সোমবার রাত্রে সালানপুর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামে।জানাজায় যে এই পাহাড়পুর গ্রামে প্রায় আড়াইশ বছর ধরে বাবা ধর্মরাজ এর পুজো হয়ে আসছে ।এই গ্রামে রয়েছে বিভিন্ন জাতির মানুষ যারা একত্রিত হয়ে এই পুজোর কটা দিন আনন্দে কাটান ।
প্রায় সাতদিন ধরে চলে এই গ্রামের পুজো ।বিশেষত পাহাড়পুর গ্রামের দত্ত দের বাড়ী থেকেই এই পুজোর সূত্রপাত ।জানাগেছে যে এই গ্রামের বাবা ধর্মরাজ রানীগঞ্জ এর থেকে এই গ্রামে এসে বিরাজমান করেছেন।বহু বছর পূর্বে গ্রামের কোন এক বৃদ্ধা মাঠে মহিষ চড়াতে গিয়ে জলে ডুবে যায় তখন ঐ বৃদ্ধ পরিবারের কাওকে স্বপ্না দেশ দেয় যে পাহাড় পুর গ্রামের নিচের দিকে একটি পুকুরে বাবা ধর্মরাজ রয়েছে সেখানে ডাবর গ্রামের পুরোহিত নিয়ে ঢাক ঢোল সহকারে যেন বাবাকে নিয়ে আসে আর তারপর থেকেই পাহাড়পুর গ্রামে বাবা ধর্মরাজ এর পুজো আর্চা শুরু হয় প্রথমে তালবাগড়া দিয়ে আশ্রিত মন্দিরে বাবাকে বিরাজমান করাহয়েছিল তবে ধীরে ধীরে মন্দির তৈরি করাহয় এবং এই মন্দিরে বাবাকে রেখে পুজো করা হয়।পুজোর এই কটা দিন বহু দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসে পুজো দেখতে। তাছড়া প্রথা অনুযায়ী পুজোর দিন পাঠাবলি করা হয়।এবং ভক্তরা নির্জলা উপবাস করে থাকে ।এবং এই নির্জলা উপবাস করেই তারা লোটন ,কাঁটা লোটন ডন্ডি দেওয়া বা দেহের বিভিন্ন অংশে ছুঁচ ফোঁড়া,আগুনে ঝাঁপ দেওয়া করে বাবাধর্ম রাজের পুজো পালন করেন ।