আসানসোল নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পানীয় জল সরবরাহের করার দাবিতে আসানসোল পৌর নিগমের সামনে খালি বালতি নিয়ে ধর্নায় আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সঙ্গে বাপ্পা চ্যাটার্জী, ভিগু ঠাকুর বিজেপি কর্মীরা। তাদের দাবি আসানসোল পৌর নিগম এলাকায় এই তীব্র গরমে মানুষ জলের পরিষেবা পাচ্ছে না ।শুধু আসানসোল শহরে নয় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা গুলোতে জল পাচ্ছে না। লোকসভার ভোটের আগে তৃণমূল বাইরে থেকে জলের ট্যাংকার এনে জলের সমস্যা দূর করছিল।কিন্তু ভোট পেরিয়ে যাওয়ার পর আর জল পাচ্ছে না ,কোথাও কোথাও আবার গভীর রাতে জলের ট্যাঙ্কার পৌঁছে জল দেওয়া হচ্ছে। সেই জল আবার নোংরা ও সঙ্গে চিংড়ি মাছ এই জল খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আসানসোল পৌর নিগমের কোন হেলদোল নেই এই ব্যাপারে। সামনে বর্ষা এই বর্ষায় জল নিকাশি ব্যবস্থা একবারই নেই।আমার প্রথম বার দেখেছি বর্ষার সময় আসানসোলে শহর জলমগ্ন অবস্থায় জা কোনদিন দেখিনি তৃণমূল সরকারে আমলে দেখলাম। আর হবেই বা না কেন কোথাও দেখেছেন দুজন ডেপুটি মেয়র। একজন মন্ত্রীর ভাই আর একজন সংখ্যালঘু দু’জনকেই খুশি রাখতে হবে তার জন্য পৌরনিগমের দুটি ডেপুটি মেয়র এখনো বোর্ড গঠন হয়নি নিজেরাই ঠিক করতে পারছে না নিজেদের নিজেদের মধ্যে মারামারি , খাওয়া খাওয়ী হচ্ছে।আর একদিকে আসানসোল শহর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তিন মাস পেরিয়ে গেল এখনো বোর্ড গঠন হয়নি। আমরা যে মানুষের দাবি গুলো নিয়ে এসেছি যদি তার কিছুদিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
অন্যদিকে আসানসোল পৌর নিগম এর চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জী জানান বিজেপির কোন অস্তিত্ব নেই শুধু শুধু তারা অশান্তির সৃষ্টি করে নিজেদের টিআরপি বাড়াবার জন্য। আসানসোল শহরে কোন জায়গায় জলের সমস্যা নেই মিথ্যে অভিযোগ। কেউ যদি জল নিয়ে স্নান করে কাপড় কাছে তাহলে আমাদের কিছু করণীয় নেই ।আসানসোল শহর জল পাচ্ছে মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে এখানে অশান্তির সৃষ্টি করে নিজেদের টিআরপি বাড়াবার চেষ্টা করছে। যদিও এগুলো করে কোন লাভ হবে না। তৃণমূল সরকার মানুষের কাজ করে এখানকার বিধায়করা কাজ করে, আসানসোল পৌর নিগম মানুষের সেবা করে আসছে আর করবে। তারা যদি এই অশান্তি সৃষ্টি করে করুক আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না ।এখানকার মানুষ জানেন তৃণমূল সরকার ও পৌরনিগম মানুষের হয়ে কাজ করে। আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি যেখানে রেল মানুষদের বাস্তুহারা করে দিচ্ছে যেখানে কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প রয়েছে সবাইকে ছাদের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমাদের বুলেট ট্রেন চাইনা । মানুষকে আগে বাঁচতে হবে এবং বাঁচাতে হবে আমরা এটা নিয়ে এখন চিন্তাভাবনা করছি এবং রেল করতে বলছি তা পরে আন্দোলন করুন, ডেপুটেশন দিক এবং নিজের টিআরপি তৈরি করুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না এবং এখানকার মানুষ সঠিক পরিষেবা পাচ্ছে আর এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে আর হবে।এই সব করে কিছু হবে না আমাদের উন্নয়নের ধারাকে আটকানো যাবে না।