রানীগঞ্জ বোরো অফিসে কর্মরত নৈমিত্তিক কর্মী শ্রীজিতা মিত্র প্রতি মাসে একই কাজে একসাথে দুটি বেতন ?বন্ধ করলো তার একাউন্ট 

BAPPA BANERJEE আসানসোল :আসানসোল ​​কর্পোরেশনের প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে 28 নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সারোয়ার কর্পোরেশনের অর্থ ও রাজস্ব বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিন। রানীগঞ্জ বোরো অফিসে কর্মরত নৈমিত্তিক কর্মী শ্রীজিতা মিত্র প্রতি মাসে একসাথে দুটি বেতন পাচ্ছেন তা প্রকাশ করে তিনি বলেন যে আসানসোল ​​কর্পোরেশন হেড অফিস এবং রানিগঞ্জ বোরো অফিস থেকে কর্পোরেশনের একজন কর্মচারীকে মাসিক দুবার বেতন দেওয়া হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে ওই ব্যক্তির একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে কীভাবে দুটি বেতন একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। আসানসোল পৌর কর্পোরেশনের অর্থ বিভাগ আজ অবধি নজরে পড়েনি বা বিভাগটি ইচ্ছাকৃতভাবে এই পুরো বিষয়ে নীরবতা পালন করছে। গোলাম সারওয়ার জানান, কর্পোরেশনের রাজস্ব ও অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে পুরোপুরি সমাধান করতে না হলে কর্পোরেশন প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে,

 

অন্যথায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করা হবে। শ্রী গুলাম সরবর বলেন, পৌর কর্পোরেশনে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের গল্প নতুন নয়। এর আগে কুলটির আওতাধীন নিয়ামতপুর পৌরসভার এক কর্মচারী পৌরসভার টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জায়গায় নিজেই রেখেছিলেন। এভাবে চলছিল অনেকক্ষণ। পরে একদিন ব্যাংক কর্মকর্তার মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়, তখনই সব ফাঁস হয়ে যায়। একইভাবে, জামুড়িয়া বোরো অফিসে এক কর্মী জাল নথি, রসিদ এবং স্ট্যাম্প তৈরি করে সম্পত্তি করের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, এ সব ঘটনায় করপোরেশন প্রশাসনের পর্যায় থেকে আজ পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আজ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি এবং দোষীদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। শ্রী গোলাম সরবর বলেন, সব টাকাই জনগণের কষ্টের টাকা। এভাবে লুটপাট হতে দেওয়া হবে না। এসব ক্ষেত্রে কর্পোরেশন প্রশাসনকে তার পর্যায় থেকে জবাবদিহি নিয়ে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। রাজস্ব আধিকারিক শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন যে এটি তাঁর বিভাগে পরে না,কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এর জবাব দেবেন।

আসানসোল পৌর নিগমের সূত্রের খবর শ্রীজিতা মিত্র একটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট বন্ধ করে দিয়া হয়েছে এবং দুই বছর ধরে যে বেতন নেওয়া হত তা ফেরত দিয়ার কথা জানানো হয়েছে। যদি তা না দেয় তা হলে বোর্ড দৃঢ় আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানা গেছে । সেই সময় মেয়র ছিলেন জিতেন্দ্র কুমার তিওয়ারি এবং বোরো চেয়ারম্যান ছিলেন গোলাম সরবর তা হলে সেই সময় পদক্ষেপ নেই নি কেন এখন মনে পড়ল তাদের। যদিও সেই সময় যা দুর্নীতি হয়েছে সব ক্ষতিয়ে দেখে আসানসোল পৌর নিগমের বোর্ড আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!