কাজল মিত্র :- চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন এর পক্ষ থেকে রেলের অবৈধ নির্মাণ ভাঙ্গার জন্যে বারংবার নোটিশ জারি করা হলেও প্রতিবারই দখলদারদের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় কিন্তু এবারে কোন কর্ণপাতে কান না দিয়ে মঙ্গলবার রেল কর্তৃপক্ষ এর তরফে সমস্ত নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হল।
এদিন চিত্তরঞ্জন রেল নগরীর
এরিয়া এইট অঞ্চলের ২৬ বি রাস্তার ৮ -বি ও ৯- এ আবাসনের অবৈধভাবে দখল দার দের নির্মাণ ভাঙ্গা হয়। রেলপ্রসাশন এর তরফে বহুবার উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল প্রথমবার ২০০৯ সালে ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম নোটিস দেওয়া হয় রেলপ্রসাশন এর তরফে ।এর পর ২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি পুনরায় নোটিশ দেওয়া হয় । এরপর ২০২২ সালের মে মাসের 26 তারিখ
অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের আবার উচ্ছেদের নোটিশ পাঠালো ।তবে সেই নোটিশ পাওয়ার পরেই চিত্তরঞ্জন শহরের মধ্যে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ জন বিধায়ক তথা মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের কাছে দ্বারস্থ হন। সাধারণ মানুষের আবেদনে সারা দিয়ে তখন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার এস.কে কাশ্যপ সাথে বৈঠক করে মেয়র বিধান উপাধ্যায় জনি সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা জিএম এর কাছে জানান।
সেই সময় ম্যানেজার আশ্বাস দেন যে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে আর কোন আবাসন ভাঙ্গা হবেনা তবে নতুন করে আবাসন তৈরিও করা যাবেনা ।কিন্তু এসব কিছু র পরেও আজ মঙ্গলবার চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন এর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ জেসিবি মেশিন নিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় ।তবে এদিনের এই কাজে আরপিএফ ও রেল প্রশাসনকে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়নি।যদিও চিত্তরঞ্জন থানার রাজ্য পুলিশের কোন আধিকারিক এই উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলনা ।তবে উচ্ছেদ চলাকালীন প্রাক্তন কর্মী উমাশঙ্কর বাগার এর পরিবার উচ্ছেদ কারীদের কাছে থেকে
আরো কিছু সময় চেয়ে নেন বাড়ির জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আবেদন করেন ।কিন্তু হঠাৎ করে একটি মাটির ঘর থেকে আগুনের শিখা দেখা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ।উপস্থিত রেলপ্রসাশন ওই বাড়িতে থাকা লোকেদের সেখান থেকে বের করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন । এরপরই বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র রেল প্রশাসনের লোকেরা বের করে দেয়। ঘরের মধ্যে থাকা গরু ছাগল সহ সমস্ত জিনিস পত্র বের করে দেওয়া হয় ।
১ জুলাই সিএলডব্লুর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের পক্ষ থেকে জানা গেছে আজকের পর ধীরে ধীরে শহর জুড়ে এই কাজ রেল কর্তৃপক্ষ চালিয়ে যাবে ।
এদিকে উচ্ছেদ হওয়ার পর বাসিন্দারা বলেন, ‘রেল আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ করেছে। আমরা গরিব মানুষ। জানি না আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে।