একটি অতিপ্রাচীন যাত্রা শিল্প নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিল সেই শিল্প কে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানায় :বিধায়ক
রানীগঞ্জ বাপ্পা ব্যানার্জী :রানীগঞ্জের সিয়ারসোল গ্রাম বর্তমানে পৌর এলাকায় এসে পড়লেও সমগ্র এলাকাটি যাত্রা মোদী দর্শকদের এলাকা। আর সে বিষয়কে মাথায় রেখে একসময় বছরের পর বছর নানান যাত্রাপালা হত সিয়ারসোল রাজ ময়দানে। বিগত প্রায় নয় দশ বছরের মত সময় ধরে রাজ ময়দানে কোন যাত্রা পালায় অনুষ্ঠিত হয়নি। যা নিয়ে এলাকার যাত্রা মোদীর দর্শকেরা ব্যাপক হতাশ ছিলেন। তবে তাদের হতাশা কাটল জগদ্ধাত্রী পুজোর রাত্রে। রানীগঞ্জের থানা নাগরিক কমিটির দ্বারা পরিচালিত কালী পুজো কমিটির পূজো উদ্যোক্তারা এবার যাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন রাজ ময়দানে। দীর্ঘ একটা সময় ধরে যাত্রা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সামাজিক সেই যাত্রাপালা দেখতে বুধবার রাত্রে ব্যাপক ভিড় জমায় যাত্রা মোদীর দর্শক। পুরুষ মহিলারা ফরাস ভর্তি করার সাথেই ভিআইপি চেয়ারও ভর্তি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত অনুভব করে দর্শকেরা। টানটান উত্তেজনা ময় এই যাত্রায় মেঘে ঢাকা তারা কেন যাত্রার নামকরণ হয়েছে তা জানতে উৎসুক দর্শকেরা যাত্রা মঞ্চ আকড়ে থাকে যাত্রার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। রাত্রি দশটার আগেই সম্পন্ন হয় রানীগঞ্জের দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এই যাত্রাপালা। দীর্ঘদিনের পর এই যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হওয়ায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ। একই সাথে রানীগঞ্জের বিধায়কও এই যাত্রা অনুষ্ঠান হওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।